ভাঙ্গুড়ায় বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু part 2




ভাঙ্গুড়ায় বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন “এডুকেশন ডিজিটালাইজেশন ভিশন-২০২১“। প্রধানমন্ত্রীর এই মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্দেশিত বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা  প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ সকালে (ইং- ১২-০৩-২০২০ ) উপজেলার ” ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে” এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হোসাইন রাসেল ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাকি বিল্লা। আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ।
বায়োমেট্রিক শিক্ষক হাজিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
এই কার্যক্রমে সরাসরি অংশ গ্রহণ করছে ঢাকার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান  “Retina Soft”, পাবনাসহ দেশের আরো ১৬টি জেলায় এই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করছে কোম্পানীটি। 
কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতাগণ পাবনার (ভাঙ্গুড়ার) সন্তান হওয়ায় তাদের বক্তব্যে জানান যে, পাবনাকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করবেন তাদের  শিক্ষক হাজিরা সার্ভারের” মাধ্যমে। এসব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – হেডমাস্টার মুভমেন্ট রেজিস্টার ফর্ম, লিভ এপ্লিকেশন ফর টিচার্স, স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট শিট তৈরী, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্লাস রুটিন তৈরী করা, অনলাইন নোটিশবোর্ড, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে উপস্থিত হওয়া ও স্কুল থেকে চলে যাওয়ার খবর SMS এর মাধ্যমে গার্ডিয়ানকে জানানো ইত্যাদি সহ আরো নানা সুযোগ-সুবিধা।
এছাড়াও DPEO, TEO ও ATEO  চাইলে এই সার্ভারের মাধ্যমে সরাসরি সকল প্রধান শিক্ষক ও  সহকারী শিক্ষকগণকে যেকোনো বার্তা পাঠাতে পারবে।

হাজিরা মেশিন এর বৈশিষ্ট্য  :

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন ।
  1. তিন বছরের ওয়ারেন্টি থাকতে হবে।
  2. কমপক্ষে পাঁচ হাজার ব্যক্তির নাম এন্ট্রি করা যাবে।
  3. চার ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকতে হবে।
  4. কমপক্ষে ২ লক্ষ বার হাজিরার ধারণ ক্ষমতা থাকতে হবে।
  5. ইউএসবি /ওয়াইফাই / 3G / 4G অন্যান্য মাধ্যমে সংযোগ ঘটানো যাবে।
  6. একটি সেন্ট্রাল সার্ভার থাকবে । শিক্ষক হাজিরা দেওয়ার সাথে সাথে সেন্ট্রাল সার্ভারে চলে যাবে ।উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন ।
  7. একটি মনিটরিং সফটওয়্যার থাকতে হবে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল এই হাজিরা পদ্ধতি শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।